“এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি, বাংলাদেশকে জানি” এই শ্লোগানে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি শুরু করেছে পঞ্চগড়ের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাইফুল ইসলাম শান্তি।
বঙ্গবন্ধু ভক্ত এ তরুণ ছুটে যাচ্ছেন পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরছেন বঙ্গবন্ধুর নানা গুন ও আদর্শের কথা। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ সহকারে শুনছেন সাইফুলের কথা। তিনি দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিষয়ে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের আমলাহার এলাকায়। সে ওই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
বঙ্গবন্ধুকে কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকে কেন আমরা অনুসরণ করবো, বঙ্গবন্ধুকে কেন আমরা ভালোবাসবো, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে কেন আমরা ঘৃণা করবো এইসব বিষয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনা করেন এই তরুণ। শোকের মাসে সাইফুল প্রচার করছেন বঙ্গবন্ধুকে যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এরা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের মানুষ কখনো এদেরকে ক্ষমা করবেন না। প্রতিটি শিশু যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠে এজন্য শিশু শিক্ষার্থীদেরকে শপথ বাক্যও পাঠ করান এই তরুণ।
সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না, যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যারা ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের মানুষের কাছে এক আদর্শের নাম। যারা স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে সেইসব হত্যাকারী ও তাদের দোসরদেরকে ঘৃণা করতে শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধও জানান এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। তার এই কার্যক্রমে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও।
শান্তি বলেন, আমি অনেক স্কুলে গিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো বাংলাদেশকে জানো’ এর উপরে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্ন করি। তারা এর সঠিক উত্তর দিতে পারলে আমি তাদের নানা ধরনের শিক্ষা উপকরণ উপহার দেই।
মাগুড়া প্রধানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ূব আলী প্রধান বলেন, এর আগেও নানা ধরনের সামাজিক কাজ করেছে সাইফুল। সে আমাদের স্কুলে বঙ্গবন্ধুকে জানো বাংলাদেশকে জানো নামে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা আসলেই ব্যতিক্রমী। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা তার পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
উল্লেখ্য গত ১লা আগস্ট থেকে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা তুলে ধরেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে কাজ করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। এর আগে পদ্মাসেতুর ষড়যন্ত্র ও কল্লাকাটা গুজবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে জনসচেতনতামূলক পদযাত্রাও করেন এ তরুণ। সাইফুল জানান তার এই কর্মসূচি শোকের মাস জুড়ে চলমান থাকবে।