গত শনিবার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেয়েটির মরদেহ। জানা যায়, ওই কিশোরীকে ঘরে রেখে বাজার করতে গিয়েছিলেন তার মা। এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তরুণ মেয়েটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং তাকে যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছে।

চেন্নাই পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে যুবকটির শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে কিশোরীকে নির্যাতন এবং হয়রানি করে আসছিল বলেও স্বীকার করেছে সে। তাদের মধ্যে নোংরা মেসেজ ও পর্ণেো ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিন বছর আগে একই স্কুলে মেয়েটি অষ্টম ও ছেলেটি একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। এরপর মেয়েটি একটি গার্লস স্কুলে চলে যায়। এরপর ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ ও শিশু সুরক্ষাসংক্রান্ত আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মেয়েটি চিরকুটে আরও লিখেছে, ‘স্কুল নিরাপদ নয়। শিক্ষকদেরও বিশ্বাস করা যায় না। মানসিক নির্যাতনের কারণে পড়াশোনা, এমনকি ঘুমানো বন্ধ হয়ে গেছে। স্বপ্নের মাঝেও মানসিক শান্তি পাওয়া যেত না। প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত মেয়েদের কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয় তা তাদের সন্তানদের শেখানো, বিশেষ করে ছেলেদের।

সম্প্রতি, যৌন হয়রানির কারণে তামিলনাড়ুতে আরও চারটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটিতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।