শীতকালে গোসল করতে গেলে ঠাণ্ডা পানির কথা চিন্তা করলেই আর গোসল করতে ইচ্ছা হয় না। তখন মনে হয় যেন গরম পানি থাকলে কতই না ভালো হত। আর এই সুবিধা পাবার জন্য অনেকেই বাসায় গিজার ব্যবহার করে থাকেন।
গিজারের ফলে পানি গরমের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু গিজার ব্যবহার করা যতটা উপকারী, একটু বেখেয়ালি হলে ঠিক ততটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠে। তাই এই গিজার ব্যবহারের পাশাপাশি প্রায় সকলেরই বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
অনেক সময় আমরা আমাদের মনের ভুলে গিজার বন্ধ করতে ভুলে যাই। সেক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ গিজার চালু থাকলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এই কারণে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে, এই ধরনের যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
গিজার চালু করা এবং গিজার বন্ধ করার সময় মনে রাখতে হবে, যাতে গিজার বন্ধ করতে ভুল না হয়। বর্তমানে গিজারগুলোতে স্বয়ংক্রিয় সুইচ পাওয়া যায়, যাতে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
গিজার কিনে নিজে সেটি ফিট করা উচিত নয়। গিজার ফিট করার সম্পর্কে দক্ষ কাউকে দিয়ে কাজটি করানো উচিত। তা না হলে গিজারের কিছু তার এখানে-ওখানে বেরিয়ে যেতে পারে। ফলে গিজার ফেটে যেতে পারে, শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা তো রয়েছেই। এছাড়া গিজার কেনার সময় অবশ্যই আইএসআই চিহ্ন দেখে কেনা উচিত।
গিজারে বিউটেন এবং প্রোপেন নামের গ্যাস রয়েছে যা কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি করে। সেজন্য বাথরুমে গিজার বসানোর সময় অবশ্যই একটি এক্সজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে, যাতে গিজার থেকে বের হওয়া গ্যাস বাথরুমে জমে না যায়। এই গ্যাসগুলো মানুষের শরীরের জন্য ভালো না।
সবসময় এমন জায়গায় গিজার লাগাতে হবে, যা শিশুদের নাগালের বাইরে এবং শিশুরা যাতে তা স্পর্শ করতে না পারে। আসলে, অনেক সময় গিজার শকও দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এটি শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।