এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নামের শেষে (পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) বা ‘পিএলসি’ লিখতে হবে। এতদিন বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে নামের শেষে শুধু ‘লি’ (লিমিটেড) লেখার নিয়ম ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানি হিসেবে ব্যাংকসমূহকে উহার নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী বা পিএলসি’ শব্দ লিখতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এ সন্নিবেশিত ১১ক(ক) ধারার বিধান অনুসারে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সীমিতদায় পাবলিক ব্যাংক-কোম্পানির নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ‘PLC.’ অন্তর্ভুক্তকরণ এবং এ লক্ষ্যে ব্যাংক-কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানিসমূহকে অনুমতি দেওয়া হলো।
ব্যাংক-কোম্পানিসমূহের নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি’ বা ‘পিএলসি’ অন্তর্ভুক্ত করার আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর যথাক্রমে ১১৬ ও ১১৭ ধারার আওতায় ব্যাংক-কোম্পানিসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবরে পৃথকভাবে আবেদন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
তবে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করার পর বিষয়টি অবগতিসহ পরিবর্তিত নামের গেজেট প্রকাশের জন্য ব্যাংক-কোম্পানিসমূহকে এ বিভাগে আবেদন দাখিল করতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী নামের শেষে ‘পিএলস’ যুক্ত করতে ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। পর্ষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তা যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) এর কাছে জানাতে হবে।
তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নাম ও সংঘস্মারকে আনা পরিবর্তন লিখিতভাবে জানাতে হবে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪টি ব্যাংকের বেলায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও জানাতে হবে পরিবর্তনের বিষয়টি। আর বিনিয়োগকারীদের জন্য মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৬১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি বিদেশি ও সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া কয়েকটি ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি শব্দ রয়েছে।