বিবিধ, স্বাস্থ্য

রোজায় গ্যাস্ট্রিক ও বদহজম থেকে মুক্তিতে করণীয়

ডেস্ক প্রতিবেদন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৪শে মার্চ ২০২৩ ০৯:০৭:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। আর এই মাসে ইফতারের সময় নানা রকমের ভাজাপুরি দিয়ে মুসল্লিরা তাদের রোজা ভাঙবে। আর রমজান ভুল খাবার নির্বাচনের কারণেই গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা দেখা দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

অতিরিক্ত খাবার ও ভাজা-পোড়া খাওয়ার ফলে এবং দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে সহজেই গ্যাস্টিক ও বদহজমের সমস্যায় ভুগতে হয়। এক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, বুক জ্বালা-পোড়া, দম বন্ধ হয়ে আসা, ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব, পেট ফেঁপে থাকাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। কারণ ইফতারে যেসব ভাজা-পোড়া, ছোলা, মুড়িসহ ইত্যাদি খাবার থাকে, সেগুলো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

যেসব নিয়ম মেনে খেলে সেহরি ও ইফতারিতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজম সমস্য দূর হবে।

আরও পড়ুন : পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে রোজা কি ভাঙে?

ইফতারি

১. ইফতারিতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাজা-পোড়া, মিষ্টিজাতীয় কিংবা লবণজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

২. ইফতারিতে অনেকের বেশি খেয়ে ফেলার অভ্যাস আছে। তাই ইফতারের পর থেকে কয়েকবার অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে।

৩. ইফতারে শরবতের সঙ্গে ইসুপগুল বা লেবুর শরবত, ডাবের পানি রাখলে ভালো। পাশাপাশি যেকোনো ফল পরিমাণমতো খাবেন।

৪. ইফতারির শুরুতেই ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল-মূল ও শরবত দিয়েই ইফতার শেষ করুন। 

৫. ইফতারির পর বা খাওয়ার পরপরই কখনো শুয়ে পড়বেন না। এক্ষেত্রে একটু হাঁটাহাঁটি করা খুবই উপকারী। 

৬. রোজার মাসে রাতের খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ে আবার সেহরিতে ঘুম থেকে ওঠে খাওয়ার ফলে অনেকেরই বদহজম হয়ে থাকে। এজন্য অবশ্যই শোয়ার ১ ঘণ্টা আগে খাবার শেষ করতে হবে। না হলে অ্যাসিডের ব্যাক ফ্লো হয়ে (জিইআরডি) এর মতো রোগ হতে পারে।

৭. ইফতারে টকজাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার পর টকজাতীয় ফল থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। 

৮. ইফতারে কিংবা সেহরিতে ঝালজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। এমন খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

৯. রোজার মাসে চা-কফি খাওয়া পরিহার করুন। এতে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

সেহরি

১. সেহরির সময় শেষ হওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগেই খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। এতে কিছুটা সময় নড়াচড়া করতে পারবেন। এতে খাবার হজম হবে। এ সময়ের মধ্যে অল্প অল্প করে কিছুটা পানিও খেতে পারবেন।

২. অনেকেই সেহরিতে পেট ভরে খাবার খেয়ে থাকেন! যা মোটেও ঠিক নয়। তাই সেহরিতে অতিরিক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

৩. সেহরিতে অবশ্যই তেল-মশলা কম ব্যবহার করে রান্না করবেন।

৪. অনেকে দীর্ঘ সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন; তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবেন।

ডিবিসি/এএসডি

আরও পড়ুন