বিবিধ, লাইফস্টাইল

জেনে নিন সাঁতারের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২১শে মে ২০২৩ ১২:৫১:২০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ব্যায়াম হয় শুধুমাত্র সাঁতারে। কেবল পানিতে পড়লে জীবন রক্ষার জন্য নয়, ব্যায়াম হিসেবেও সাঁতার শেখাটা জরুরি। প্রতিদিন সাঁতারে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে। আপনি পাবেন মনের মতো ফিগার।

আপনার ফিটনেস লেভেল যাই হোক না কেন, নিয়মিত সাঁতার কাটলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস কোটারের মতে, যাদের অস্থিসন্ধিতে সমস্যা আছে তাদের জন্য সাঁতার দারুণ ব্যায়াম। তিনি জানান, পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়। খবর: এভ্রিডেহেলথ।

যুক্তরাজ্যের সাঁতার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুইম ইংল্যান্ডের পানির সুস্থতা বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু পাওয়ার বলেছেন, তাৎক্ষণিক ব্যথা নিরাময়ের জন্য পানির কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে তিনি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা মোকাবিলায় সবাইকে সাঁতার কাটার পরামর্শ দেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সাঁতার শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদী নয়, দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

নিয়মিত সাঁতারে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সাঁতার কাটলে আয়ু বাড়ে। ২০১৭ সালে সাঁতার নিয়ে ইংল্যান্ডে চালানো এক জরিপ অনুযায়ী, সাঁতারুদের অল্প বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৮ শতাংশ কম। এছাড়া হৃদরোগ এবং স্ট্রোকে তাদের মৃত্যুঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে ৪১ শতাংশ কম।

২.  সাঁতারে সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম হয়। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল অনুসারে, একজন ব্যক্তি আধ ঘণ্টা সাঁতার কাটলে ৪৩২ ক্যালরি ঝরে, অন্যদিকে সম পরিমাণ সময় হাঁটলে ক্যালরি ঝরে ২৬৬। বিএমসি স্পোর্টস সায়েন্স মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন প্রকাশিত ২০২১ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৬ সপ্তাহ সপ্তাহ সাঁতার কাটার ফলে একেকজনের শরীরের মেদ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

৩. অ্যারোবিক ব্যায়ামের মতো, সাঁতার কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস উন্নত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিন ইউনিভার্সিটির পুনর্বাসন, অর্থোপেডিকস এবং স্পোর্টস মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক ব্রায়ান জে ক্রাবাক বলেছেন, ‘সাঁতারের ফলে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং ফুসফুস অক্সিজেন সরবরাহে আরও শক্তিাশালী হয়ে উঠতে পারে’। গবেষণায় দেখা গেছে, সাঁতার উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৪. সাঁতারে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। স্রোতের সঙ্গেই হোক বা বিপরীতে, পেশির অনেকটা শক্তি যায় সাঁতারে। এর ফলে নানা ধরনের ব্যথা, যন্ত্রণায় আরাম দিতে পারে সাঁতার। অনেক ধরনের পেশি আরাম পায়। হাড়ে ব্যথা, আর্থারাইটিসের সমস্যা থাকলেও কমে।

৫. সাঁতার কাটা শরীরের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত চলাচল বাড়ায়। তার ফলে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে কর্মক্ষমতা।

৬. সাঁতার কাটলে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। বায়োমেড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল-২০২০ সালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে ছয় ঘণ্টা সাঁতার কাটার ফলে মেনোপোজের পর নারীদের হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত হয়েছে বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী সাঁতারুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা গেছে। 

৭. মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলেও সাহায্য করতে পারে নিয়মিত সাঁতার কাটার অভ্যাস। কারণ সাঁতার কাটলে শরীরে এন্ডরফিন নামক একটি হরমোন তৈরি করে। এই হরমোন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মন ভালো করে।

আরও পড়ুন