চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫ শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচলিয়া জামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেলিম রেজা, জীবননগরের হাসাদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলার বড় সলুয়া নিউ মডেল কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, জীবননগরের জীবননগর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নয়ন তারা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর ডিগ্রি কলেজের বেগম হালিমা আক্তার।

শুধু চাকরিচ্যুতই নয়, তাদেরকে ফেরত দিতে হবে বেতন ও ভাতার অর্থ।

সূত্র ডিআইএ এর পত্র নং ৩৭.১৯.০০০০.০৬১.১৬.০৪৩.২৩ তাং ০৮/০১/২০২৩ স্মারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকদিন আগে চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এই ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সেই সঙ্গে ৭ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যাচাই-বাছাইয়ে এসব জাল সনদধারী শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান বা প্রতিনিধির সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদ যাচাই করে জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তার আলোকে এখন এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যবস্থার অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা, যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আপত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে আদায় এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, পত্র পাওয়ার পর তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন শনাক্তের কাজ চলছে। বিস্তারিত পাওয়ার পর বাস্তবায়ন করা হবে। তবে, যাদের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরির অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও বেতন ভাতার সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ডিবিসি/আরপিকে