চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মতো একটি দক্ষ ও বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চলছে। কথিত সেবাপ্রার্থী এবং স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা বক্তব্য উদ্ধৃত করে কোনও বস্তুনিষ্ঠ দলিল, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের মতো সুপ্রাচীন একটি সরকারি সংস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে কতিপয় ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের যে কোনও পদায়ন শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
অর্থ দিয়ে অফিসার ইনচার্জ হওয়ার সামান্যতম সুযোগ সিএমপি প্রশাসনে নেই। কেউ প্রমাণও দিতে পারবে না।
‘ঘুষ দিয়ে চেয়ারে বসেছি, ফ্রিতে সেবা দিতে আসিনি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং পক্ষপাতদুষ্ট দাবি করে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সিএমপি কমিশনার। পাশাপাশি তিনি এই মানহানিকর সংবাদ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ না করলে সিএমপি যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে মত প্রকাশ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে নগরের দামপাড়ায় সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানিয়েছিলেন, চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় একটি পারিবারিক সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
সেই মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা জামিনে বের হয়ে স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন থানায়। অভিযোগ না করে পাল্টা মামলা করার পরামর্শ দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। কিন্তু তারা মামলা না করে ওসি এবং সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি ভুল তথ্য তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সরেজমিন অনুসন্ধান করে পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
ডিবিসি/আরপিকে