বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

১০ শিক্ষার্থীকে মল-মূত্র খাওয়ালেন মাদরাসা শিক্ষক!

বরগুনা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৬ই জুন ২০২৩ ০৬:০০:০৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বরগুনার আমতলী পৌর শহরের একটি মাদরাসায় মোবাইল ফোনে শিক্ষকর মেয়ের ছবি তোলার অপরাধে বিচারের নামে ১০ শিক্ষার্থীকে মারধর এবং মল-মূত্র খাইয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদরাসা শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পৌর শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়্যেদেনা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মোসা. তাসলিমা বেগম, তার স্বামী মো. আব্দুর রশিদ, ছেলে মো. তাইয়েব ও মেয়ে মোসা. নুসরাত এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

গত শনিবার (৩ জুন) ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি গেলে তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ বোধ করে। একপর্যায়ে তাদের পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সোমবার সকালে তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাঙ্খিতা মণ্ডল জানান, সোমবার সকালে মাদরাসায় পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে ‘মলমূত্র’ খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীরা জানায়, ছবি তোলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা রবিবার রাতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনা আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে  বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ,ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ডিবিসি/কেএমএল

আরও পড়ুন