‘সবচেয়ে বড় হচ্ছে ভালোবাসা; এর মাধ্যমে সবকিছু শুধরে নেওয়া সম্ভব।’ এসব অতি আবেগী চিন্তা-ভাবনা মেয়েদের মাথায় ভর করে। তারা ভাবে, ‘আমি ওকে যত কাছ থেকে চিনি, আর কেউ সেভাবে চেনে না। তাই ওকে কেউ বুঝতে পারে না। আমার ভালোবাসা ওকে বদলে দেবে।’ বাস্তবতা হলো, একজন মানুষকে আগাগোড়া বদলে ফেলা অসম্ভব।

অনেক মেয়ে মনে করে, ‘ও খুব চাপা, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। সবাই ওকে ভুল বোঝে। ওকে কেবল আমিই বুঝি।’ তারা ভুলে যায়, পৃথিবীর সবাই একসঙ্গে ভুল হতে পারে না।

‘ঠিক আছে, ও ভদ্রতা জানে না। কিন্তু সেটা ওর পরিবারের দোষ। সবাই বেড়ে ওঠা তো একরকম নয়।’ এসব ভেবেও অনেকে ছাড় দেয়। মানুষ চাইলে নিজেও যে ভদ্রতা শিখতে পারে; এটা ভাবার শক্তি থাকে না অনেক মেয়ের।

‘নিশ্চয়ই ছোটবেলায় ও অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে অথবা ওর পরিবার ভালো না, ওর পরিবার ওকে ভালোবাসে না, ওর পরিবারে অনেক অশান্তি।’ এসব ভেবেও অনেকে মায়া প্রদর্শন করে।

অনেক মেয়ে মনে করে, ‘ও আসলে বেশি সোজা-সাপটা, কিছু ভেবে কথা বলে না। তাই সকলে ভাবে আচরণ খারাপ অথবা অফিসে ও রাজনীতির শিকার, এ কারণেই ভালো কাজ করা সত্ত্বেও উন্নতি হচ্ছে না।’ এ কারণেও ছাড় দেয় অনেকে।

আরও পড়ুন: কম না বেশি- কেমন বয়সী ছেলে পছন্দ মেয়েদের?

‘ও আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে, তাই এত শাসন করে। কোনো মানুষই পারফেক্ট নন, কেউ কেউ একটু বেশি রুঢ় স্বভাবের হতেই পারে।’ এমনও ভাবে অনেক মেয়ে। ভাবে, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে, ও আমার মূল্য বুঝতে শিখবে।’ 

‘ও আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না। ও চায় মেয়েরা দূরে থাকুক, তাই বাজে আচরণ করে। আচরণ যেমনই হোক, আমাকে ঘিরেই ওর পৃথিবী। সে কখনও আমার ক্ষেত্রে স্বার্থপর হবে না।’ এসব ভেবেও মেয়েরা অনেককিছু ছাড় দেয়।

‘ওর কারণেই জীবনটা অ্যাডভেঞ্চার ভরা।’ এটা ভেবেও মেয়েরা আগ্রহী থাকে।

‘হয়তো আমিই ওর জন্য পারফেক্ট প্রেমিকা হতে পারছি না, তাই ও এমন করছে। আমি নিজেকে শুধরে নিতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তাই অনেকে নিজেকেই দোষারোপ করে।

রুঢ় ব্যবহারের ছেলেরাই আসলে বেশি পুরুষালি। তারা স্ত্রীর বেশি যত্ন নেয়। এমন ধারণা অনেক মেয়ে পোষণ করে। তাই এসব ছেলেকে তাদের পছন্দ।

তাছাড়া ‘ভুল মানুষ করতেই পারে, বারবারও ভুল হতে পারে। ক্ষমা করতে না পারলে কীসের ভালোবাসা।’ এসব দার্শনিকসুলভ ভাবনায় মশগুল থাকে মেয়েরা। তাই দুষ্টু ছেলেদের জন্য তাদের মনে আকাশ সমান ভালোবাসা থাকে।

সূত্র: এলিট ডেইলি