জাপানের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই- সিগারেট বা ইলেক্ট্রনিক সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ক্ষতিকর।
আজকাল বেশিরভাগ তরুণের মাঝে সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই- সিগারেট বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যার ভেতর একটি প্রকোষ্ঠ থাকে।
এই সিগারেটের ভেতর থাকে একটি বিশেষ ধরনের তরল মিশ্রণ। যন্ত্রটি যখন গরম হয়ে উঠে, তখন সেই তরলটির বাষ্পীভবন ঘটায়। এই বাষ্পটিকে যখন ফুসফুসে টেনে নেওয়া হয়, তখন তাকে বলা হয় ‘ভেপিং’।
অনেকেই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায় নি। তারা আরও জানান ই- সিগারেটের প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর।
এর মধ্যে থাকে নানা রকম তরল পদার্থের মিশ্রণ যেমন গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল,প্রপেলিন গ্লাইসল, নিকোটিনসহ নানা ধরনের ফ্লেভার।
মিশ্রণটি গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব রাসায়নিক থেকে উৎপন্ন হয় সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড এবং অতি সূক্ষ্ম রাসায়নিক কণা।
ই-সিগারেটের প্রধান উপকরণ নিকোটিন থেকে দ্রুত আসক্তি তৈরি হয়, যা সাধারণ সিগারেটের তুলনায় দ্বিগুণ। সিগারেটের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় যারা ই–সিগারেট ব্যবহার করেন, তাদের বরং উল্টো এর ওপর আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া ফুসফুসের নানা ধরনের রোগের জন্য এই ই- সিগারেটকে দায়ী করেন চিকিৎসকরা। তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণ সিগারেটের পাশাপাশি ই–সিগারেটের ব্যাপারেও জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।