বিবিধ, স্বাস্থ্য

জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হয়- বিজ্ঞান কী বলে?

ডেস্ক রিপোর্ট

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৫ই জুলাই ২০২৩ ০৩:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গ্রাম-বাংলায় প্রচলিত আছে, জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হয়। এ কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর জোড়া কলা খাওয়া বারণ! অনেকে এসব বিশ্বাসও করেন। এ বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে অনেকের প্রশ্ন, জোড়া কলা খেলে কি সত্যিই যমজ সন্তান হয়—নাকি এটি কেবলই কুসংস্কার? বিজ্ঞান কী বলে?

বিজ্ঞান বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়।

ফুডলি ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদন বলা হয়, জোড়া কলা বা এই ধরনের যুক্ত ফল খেলে কোনো ক্ষতি নেই। এই ধরনের ফল খেলে যমজ সন্তান হওয়ার বিষয়টি বয়স্ক লোকদের দ্বারা তৈরি কেবলই একটি মজা করা।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এবং রেইজিং চিলড্রেন নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, কোনো খাবারের সঙ্গে যমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, বিষয়টি কুসংস্কার।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন যমজ সন্তান হয়?

সাধারণত যমজ দুই প্রকার। আইডেন্টিকাল এবং নন-আইডেন্টিকাল। একই জাইগোট থেকে সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তানের জন্ম হয়। আর আলাদা জাইগোট থেকে নন-আইডেন্টিকাল যমজ সন্তানের জন্ম হয়।

জাইগোট হচ্ছে যে কোষ থেকে প্রাণের সূচনা হয়। পুরুষের শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, সে সময় দু’টি কোষ একত্র হয়ে একটি একক কোষ তৈরি করে। যাকে বলা হয় জাইগোট। এটি পরবর্তীতে বারবার বিভাজিত হয়ে এক প্রকার কোষগুচ্ছ তৈরি করে। এটি আরও বিভাজিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি করে। আর এই ভ্রুণ থেকে সন্তানের জন্ম হয়।

একই জাইগোট থেকে একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। কখনো কখনো একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে জরায়ুর অন্য কোথাও গিয়ে বসে যেতে পারে। আর তখন আলাদা দুই স্থানে থেকে দু’টি আলাদা ভ্রুণ হয়। যা থেকে আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান হয়। কারণ, এদের মূল জাইগোট একটিই। এ ক্ষেত্রে জিনগত কোনো পার্থক্য থাকে না এবং এই ধরনের যমজ সন্তানেরা দেখতে একই রকমের হয়ে থাকে।

এছাড়া অন্যভাবেও যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। প্রতি মাসে একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালীতে আসে। তবে কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম হয়। কখনো কোনো মাসে দুটি ডিম্বনালিতে আলাদা দুটি ডিম্বাণু এসে থাকে। আর এই ডিম্বাণু দুটি একসঙ্গে নিষিক্ত হলে সেই সময় যমজ সন্তানের জন্ম হয়। যাকে বলা হয় নন-আইডেন্টিকাল যমজ।

কলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। অ্যালার্জি না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবু মায়েদের কলা খাওয়ানো যেতেই পারে। কিন্তু জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তানের কোনো যোগ নেই।

ডিবিসি/আরপিকে

আরও পড়ুন