বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে কুয়েতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। তবে ফাইনালে উঠতে না পারলেও বাংলাদেশের জন্য এসেছে একটা প্রাপ্তি। এবারের আসরের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন বাংলার বাজপাখি খ্যাত আনিসুর রহমান জিকো।
কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সবার মনেই জায়গা করে নিয়েছিলেন অনবদ্য পারফরম্যান্স দিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে ১০টি সেভ দিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে গ্রুপ পর্বে লেবাননের বিপক্ষে ৩টি, মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি ও ভুটানের বিপক্ষে ২টি সেভ করেন জিকো। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতে তারই মূল্যায়ন পেলেন বাংলাদেশের এই তারকা ফুটবলার।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বেঙ্গালুরুতে ২০২৩ সালের সাফের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা গোলরক্ষক হিসেবে জিকোর নাম ঘোষণা করা হয়। বাংলার বাজপাখি খ্যাত এই ফুটবলার সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে সম্মাননাটি তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে শনিবার অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো সেমিফাইনালে কুয়েতের কাছে হার মানে বাংলাদেশ। ১-০ গোলে পরাস্ত হয়ে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। আর সোমবার দেশে ফিরে আসেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ফাইনালে উঠতে না পারলেও সাফের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে ভারতে গিয়েছিল সেটা পূরণ হয় বাংলাদেশ দলের।
পাশাপাশি শেষ হয় ১৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার। এর আগে ২০০৯ সালে শেষবার দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত প্রতিযোগিতাটির সেমিতে খেলেছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ২-০ গোল হারে বাংলাদেশ। এরপর মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ৩-১ গোলে জিতে নাম লেখায় সেমিফাইনালে।
এবারের টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় দুই পুরস্কারই পেয়েছেন ভারতের সুনীল ছেত্রী। সেরা গোলরক্ষক বাংলাদেশি আনিসুর রহমান জিকো। ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে নেপাল। সাফে ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা ভুটানের মিন্দু দর্জি ও ভারতের গৌতম করের বিচারে সেরা খেলোয়াড়, গোলরক্ষক ও ফেয়ার প্লে নির্বাচিত হয়েছে।