আলিফ জানান, যশোরের বেনাপোল বর্ডার দিয়ে দেশ ছাড়ার ইচ্ছে তার। সৌদি আরব পৌছাতে তাকে পায়ে হেঁটে অন্তত ৫ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।

আলিফ মাহমুদ এই সফরে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অন্তত ছয়টি দেশের মাটিতে হাঁটবেন। সেগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব। আলিফ বলেন, সফরের দূরত্ব ৭ হাজার ৮১০ কিলোমিটার কিংবা আরও একটু বেশি। এসব দেশের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি সঙ্গে রেখেছেন। তার খরচ বহন করছে দুলাল কাজী গ্রুপ।

আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার যুগে দীর্ঘ এ পথে কেন তিনি হেঁটে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আলিফ বলেন, ‘আমি আসলে একজন ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি এর আগে সাইকেলে চড়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছি। তখন থেকেই আমার এভাবে হজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে সাইকেলে চড়ে হজ করার ইচ্ছা থাকলেও সেটি পরিবর্তন করি এবং হেঁটে মক্কায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আর এটি আমার কাছে সম্ভবই মনে হয়েছে। কারণ, হাজার বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য মানুষ পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্তে সফর করতেন।’

আলিফের মা বিবি জরিনা বেগম বলেন, ‘আমার আদরের ছোট সন্তান আলিফ মাহমুদ পায়ে হেঁটে হজ্ব করার লক্ষে মক্কা ও মদিনার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছে। এজন্য সকলের নিকট আমি আলিফের জন্য দোয়া চাচ্ছি যেন হজ্ব পালন করে আবার সুস্থভাবে মায়ের কাছে ফিরতে পারেন।’

স্থানীয় মেম্বার দেলোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘আলিফ মাহমুদ আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য পবিত্র মক্কা ও মদিনা পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন। তার জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।’