রাজধানী

বিদেশে এস আলমের সম্পদ, সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শুনানি ৮ জানুয়ারি

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিদেশে সম্পদের বিষয়ে সংবাদ ও মন্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট এই তারিখ নির্ধারণ করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আবেদনটি গ্রহণ করলেও তা এখনো মঞ্জুর করেননি।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সামনে আগামী ৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

একই তারিখে হাইকোর্টের নির্দেশিত তদন্তের বিষয়েও শুনানির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন, যেখানে তারা বিদেশে এস আলমের সম্পদের বিষয়ে সব ধরনের সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।

মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন পিটিশনটি করেন।

তারা দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, নিউ এজ এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং আবেদনে বলেন যে, বিদেশে এস আলমের সম্পদের বিষয়ে তাদের কোনো বিবৃতি, মতামত, প্রতিবেদন, মন্তব্য বা অনলাইন ভিডিও প্রকাশ বা সম্প্রচার করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে যেন আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন।

এর আগে দ্য ডেইলি স্টারে বিদেশে এস আলমের সম্পদের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে আগামী বছর পর্যন্ত তা স্থগিত রেখেছেন।

প্রসঙ্গত দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যম 'এস আলমের আলাদিনের চেরাগ' শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। এতে উঠে এসেছে, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে অন্তত এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। কিন্তু, বিদেশে বিনিয়োগ বা কোনো তহবিল স্থানান্তরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো অনুমতি তারা নেননি।

ডিবিসি/কেএমএল

আরও পড়ুন