আন্তর্জাতিক

জানা গেল ওমানে বাংলাদেশিদের ভিসা স্থগিতের কারণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২রা নভেম্বর ২০২৩ ০৫:২২:৪৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ডলার সংকটের মধ্যেও দেশে গেল অক্টোবরে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এই মাসে ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এমন সুখবরের মধ্যে একটি দুঃসংবাদ দিয়েছে ওমান।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি, কিন্তু কেন?

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথম ওমানে যান ৩৭ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যদিয়ে উন্মোচিত হয় নতুন শ্রমবাজার। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৪৩ বছরে ওমানে গেছেন প্রায় ১৮ লাখ বাংলাদেশি। সবশেষ দেশটিতে বিভিন্ন কাজে ও স্বজন নিয়ে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছেন।

দীর্ঘ ৪৩ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে শ্রম বাজার উন্মুক্ত থাকলেও, হঠাৎ করেই গেল ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার সব ধরনের ভিসা স্থগিত করে দিয়েছে মাসকট সরকার। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শ্রমিক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশি নাগরিকদের নতুন ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে ওমান। এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শ্রম বাজার বঞ্চিত হলো বাংলাদেশ, যার প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে। আর জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি বাজার হারালো বাংলাদেশ।
 
নির্দিষ্ট কোনো কারণ না জানালেও ওমানের রয়্যাল পুলিশের বিবৃতি বলা হয়েছে, পর্যটক ও ভ্রমণ ভিসা পরিবর্তন করে কাজে নিযুক্ত হতে পারবে না কোনো দেশের নাগরিক। এ সুবিধা স্থগিত হওয়ায় এমন ভিসায় যারা ওমানে অবস্থান করছেন, তাদের মধ্যে অন্যান্য দেশের নাগরিকরা কাজের ভিসা নিয়ে ফিরতে পারলেও, বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসাই স্থগিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
 
তথ্য বলছে, দেশটির শেয়ার বাজারে ধস, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রভাব, অন্যান্য দেশের চেয়ে অতিরিক্ত বাংলাদেশি কর্মীর চাপ এবং অনেক কর্মীর কর্মসংস্থান সংকটের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমান সরকার।
 
সৌদি আরবের পর ওমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান শ্রমবাজার। নতুন করে দেশটিতে ভিসা স্থগিত হওয়ায় প্রতি মাসে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স কমবে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কোটি ডলার। এমন অবস্থায় কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। 

ডিবিসি/ এইচএপি

আরও পড়ুন