উদ্বোধনীতে রেকর্ডগড়া জুটি। ফিফটির দেখা পেলেন ফারজানা হক পিংকি। মুর্শিদা খাতুনও হলেন সঙ্গী। জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ১০ উইকেটে জয়ের সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছিল।
তবে সেই সুযোগটা হেলায় হারিয়েছেন টাইগ্রেসরা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটির সেঞ্চুরি পার করে বাংলাদেশ শতরান পেরিয়েছে । ২৭ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তাদের স্কোরবোর্ডে উঠেছে যোগ হয় ১০০ রান।
ওয়ানডেতে এটা বাংলাদেশের চতুর্থ শতরানের জুটি। ২০১১ সালে বিকেএসপির মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তার প্রথম শতরানের জুটি গড়েন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা করেন ১১৩ রান।
এরপর ২০২১ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফারজানা ও মুর্শিদা গড়েন জুটির সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় উইকেটে সেটা ছিল ১১৫ রানের। ২০১৭ সালে কক্সবাজারে তৃতীয় উইকেটে শারমিন আক্তার ও রুমান আহমেদের ১২৭ রানের জুটিটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আজ সেটা ভাঙার সুযোগ পেয়েছিলেন ফারজানা ও মুর্শিদা। কিন্তু পারেননি।
তাদের জুটিটা ভাঙে ১২৫ রানে ফারজানার বিদায়ে। ১১৩ বলে ৫ চারে তিনি সাজান ৬২ রানের ইনিংস। নাশরা সান্ধুর বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি।
দুই ওভার পর মাত্র ৩ রান যোগ করতেই ফিরে যান মুর্শিদা খাতুনও। ১০৬ বলে ৬ চারে তিনি করেন ৫৪ রান। ফাহিমা খাতুন কোনো বল খেলার আগেই হয়েছেন রান আউট। জ্যোতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতেই সেটা হয়। এই সিরিজে এর আগেও এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেটা সামাল দেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। তারা অপরাজিত থাকেন ১৮ ও ১৯ রানে। শেষ বলে ডায়না বাইগকে চার মেরে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন সোবহানা।
ডিবিসি/ এইচএপি