শরীর ভালো রাখার একটি অন্যতম শর্ত হলো মুখগহ্বরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। কিছুদিন আগেই ছিল জাতীয় ওরাল হাইজিন ডে। শুধু এই একটা দিন নয়, সারা বছরই মুখগহ্বরের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
কারণ মুখগহ্বরের পরিচ্ছন্নতা বা ওরাল হাইজিন নিয়ে মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। ফলে রোগ ফেলে রেখে তা থেকে সমস্যা আরও বাড়ছে। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সুস্থতার জন্য যেমন বিশেষ যত্নের প্রয়োজন তেমনই মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও অত্যন্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে সচেতন করলেন গুরুনানক ইনস্টিটিউট অব ডেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. অমিত রায়।
নতুন কেস স্ট্যাডির তথ্য, প্রতি বছর লাখের মতো নতুন রোগী ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে, যার মধ্যে অধিকাংশেরই ওরাল হাইজিন যথার্থ নয়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ রোগীরই রোগ নির্ণয় হয় অনেক দেরিতে। প্রায় বছরখানেক পরে। তখন রোগ হয়তো অনেক ছড়িয়ে পড়ছে। তার সঙ্গে রোগীকে ক্যানসারমুক্ত করাও অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।
যেসব ভুলে হতে পারে ওরাল ক্যানসার-
ভুলটা হচ্ছে কোথায়?
এখন অধিকাংশই জানেন না মুখে একটা ক্ষত হলে সেটার ব্যাপারে কখন সচেতন হতে হবে বা তার জন্য কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার সঙ্গে ওরাল ক্যানসার সেন্টারের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে চিকিৎসার অনীহাও রয়েছে। এটা আরও মারাত্মক।
প্রথমেই বলব, মুখে বা মাড়িতে ছোট কোনো ক্ষত থাকলে নিজে থেকে কিছু করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দাঁতে ফুটো রয়েছে, সেখান থেকে রক্তপাত হলে সাবধান হতে হবে। অনেক সময় দাঁত মাজার সময় রক্তপাত হয়ে যায়, সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
খাওয়া বা কথা বলার সময় মুখে কোথাও কামড়ে ফেললে বা ভাঙা দাঁত থেকে কোথাও ক্ষত হলে তা অবহেলা না করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যারা তামাক, গুটখা, খৈনি, পান বা পানপরাগ খান তাদের মুখে কোনোরকম অসমঞ্জস্য দেখা দিলে সাবধান হতে হবে।
ওরাল হাইজিনের মধ্যে এই বিষয়গুলো অত্যন্ত অ্যালার্মিং। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই এগুলো অবহেলা করেন। ফলস্বরূপ ওরাল ক্যানসারের (Oral Cancer) অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডিবিসি/ এইচএপি