ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। বইছে হিমেল হাওয়া। এমন পরিস্থিতিতেই সক্রিয় হয়ে উঠছে একাধিক রোগজীবাণু। এসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হয়ে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই তো অনেকেই এসব ছুটকো সমস্যার ফাঁদ এড়াতে ঠান্ডা পানি ছেড়ে গরম পানিতে গোসল করছেন।
ইতোমধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। চুল ও ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে শীতেও অনেকে ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন। আবার অনেকে এসব বিবেচনা না করে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করেন গরম পানি।
শীতে ঠান্ডা পানির তুলনায় গরম পানি দিয়ে গোসল করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই সময়ে নিয়মিত হালকা পানি দিয়ে গোসল করলে সর্দি, কাশি এড়িয়ে চলতে পারবেন। অন্যদিকে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাও হতে পারে। এ কারণে শীতের দিনে ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলেই ভালো।
শীতে অনেকেরই ব্যথা, বেদনার প্রকোপ বাড়ে। আর এই সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে সমস্যা আরও বাড়বে। এমনকি ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে গরম পানিতে গোসল করুন। কারণ, হালকা গরম পানি ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে এর জুড়ি নেই। তাই জয়েন্টের ব্যথায় ভুক্তভোগীরা রোজ গরম পানিতে গোসল করার চেষ্টা করুন। তাহলে সুস্থ থাকবেন।
অনেকেই সারা বছর গরম পানিতে গোসল করেন। এতে সমস্যার কিছুই নেই। বরং আর্থ্রাইটিস, সিওপিডি এবং অ্যাজমার মতো সমস্যা থাকলে গরম পানিতে গোসল করলেই সুস্থ থাকবেন। তবে গ্রীষ্মকালে এমনিতেই আবহাওয়া গরম থাকে। তখন আলাদাভাবে পানি গরম করে গোসল করার প্রয়োজন নেই। সে সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা পানিতেই গোসল করে ফেলুন।
গরম পানিতে গোসল করলে শরীর গরম হয়ে যায় কিনা এই ধারণার কোনো সারবত্তা নেই। এমনকি গরম পানিতে গোসল করলে পেটের সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে না। তাই এসব ভুল ধারণা মনে পুষে রাখবেন না। বরং শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করার চেষ্টা করুন। তাতেই স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বদলে যাবে।
অনেকেই শীতের দিনে প্রতিদিন গোসল করেন না। সে কারণেই তাদের পিছু নেয় ত্বকের ইনফেকশন। এমনকি তাদের পেট গরম হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তাপমাত্রার কাঁটা যতই নীচে যাক না কেন, প্রতিদিন গোসল করতেই হবে। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।