১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বসালেন। আর ঘোষণা দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কথায় বলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। খুনিদের যখন সংসদে বসিয়েছেন, ওই সংসদে খালেদা জিয়া বেশি দিন বসতে পারে নাই।
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন আর ৩০ মার্চ জনগণের রুদ্ররোষে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। এই কথাটা বিএনপির নেতাদের মনে রাখা উচিত। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছিল। একবার না দুই দুইবার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রেললাইনে নাশকতায় বিএনপি জড়িত থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা এ রকম জঘন্য কাজ করতে পারে, রেল যাবে সেখানে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে- এরা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? হত্যাকারীরা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে।
এর আগে বুধবার গাজীপুরে দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে রাখায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় এক যাত্রী নিহত হন। এরপর বৃহস্পতিবার নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিশপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা যেখানে বাস, রেলে নাশকতার চেষ্টা করবে সেখানে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ মাঠে নামলে এরা হালে পানি পাবে না। জনগণকে আহ্বান জানাব, সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। মানুষ খুন করতে জানে, মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে জানে না।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরাতো পরাজিত শক্তির দালাল। মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর, কাজেই এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নাই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নাই।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, শহিদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী, সম্মিলিত সংস্কৃতি জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ প্রমুখ।
ডিবিসি/ এইচএপি