বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন কোম্পানি ল’রিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। ৭০ বছর বয়সী এই নারীর মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচকে ইতোমধ্যে বিশ্বের ধনীতম নারী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ফ্র্যাঙ্কোইস।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তার মোট সম্পদ ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কোনো নারী এই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটল। ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্সের সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থানও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বর্তমানে তিনি এই তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন।
ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্সের নানা ইউজিন শুলার ১৯০৯ সালে ল’রিয়েল কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই কোম্পানি বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি। ফ্র্যাঙ্কোইস এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। কোম্পানির ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক তারা।
কোম্পানির শেয়ারের পাশপাশি কয়েকটি বিলাসবহুল বাসভবন বা প্রাসাদও রয়েছে ফ্র্যাঙ্কোয়েসের। সেগুলো তিনি তার মা লিলিয়ান বেটেনকোর্টের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। ২০১৭ সালে মারা যান লিলিয়ান বেটেনকোর্ট। তার জীবদ্দশায় অবশ্য সম্পত্তি নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স ব্যক্তিগত জীবনে বেশ নিভৃতচারী। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকেন তিনি। বই পড়ে এবং পিয়ানো বাজানো চর্চা করেই দিন কাটে তার। স্টাডি অব বাইবেল এবং জেনেলজি অব গ্রিক গডস নামে দু’টি বইও লিখেছেন তিনি।
ব্লুমবার্গের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তালিকায় ফ্র্যাঙ্কোইসের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বহুজাতিক চেইন সুপারশপ ওয়ালমার্টের উত্তরাধীকারী অ্যালিস ওয়ালটন। মার্কিন এই নারীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ হাজার কোটি ডলার।
ফ্র্যাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স একজন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। তিনি কোম্পানির পণ্য ও ব্র্যান্ডের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সাফল্য নারীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তিনি একজন নারী হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে বিশ্বের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।
ডিবিসি/ এসএসএস