লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য

ভুল সময়ে ভুল খাবার খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

ডেস্ক প্রতিবেদন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:৩২:৪১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সাধারণত আমরা যেসব খাবার প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি, তার অনেক খাবারই সময়মত খাওয়া হয়না। কারণ খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু সময়ও আছে। সে সময়ে খাবারটি না খেয়ে অন্য সময়ে খেলে অনেকসময় স্বাস্থ্যর ক্ষতিও হতে পারে।

নিয়মিত খাবার গ্রহণ জীবনযাপনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি। একই সঙ্গে এটি শক্তির প্রধান উৎসও। তবে, সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করলে যেমন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তেমনি ভুল সময়ে ভুল খাবার খেয়েও ডেকে আনতে পারেন বিপদ। এ জন্য বরাবরই খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকদের মতে, সকালের নাস্তা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই সেরে ফেলা উচিত। তবে, দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা যেন কোনোভাবেই সকাল ১০টার পরে না হয়। এমনটি করলে দুপুরের খাবারের ওপর প্রভাব পড়ে। একইভাবে দুপুরে ১-২টার মধ্যেই খেয়ে নেয়া উচিত, খুব বেশি হলে ৩টা। আর রাত ১০টার মধ্যেই রাতের খাবার সেরে নেয়া ভালো। তবে, ওজন নিয়ে বরাবরই যারা দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাদের জন্য রাত ৮টার মধ্যেই ডিনার সেরে ফেলা উত্তম।

এ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণের ব্যাপারেও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হলো চাইলেই যে কোনোকিছু খেয়ে ফেলা যাবে না। সঠিক সময়ে শরীরের জন্য সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাই কোন খাবার কোন সময়ে খাওয়া যাবে না তা-ও জানা জরুরি। সময়মতো সঠিক খাবার না খেলে নানা অপকারের ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা ছাড়াও ত্বকের ওপর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবসহ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে অনেক রোগ। কোন সময়ে কোন খাবার খেলে শরীরের জন্য উপকার বা ক্ষতি হবে জেনে নেয়া যাক-

কলা: কলা সকাল অথবা বিকেলে খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা বুক জ্বালাপোড়া দূর করে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। রাতে কলা খাওয়া অনেকেরই ঠান্ডার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।

আপেল: আপেল সাধারণত সকাল সকাল খাওয়াই ভালো। বিকেল অথবা রাতে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

পাকা বা কাঁচা পেঁপে: ক্যালরি ও ফাইবারসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর পেঁপে কিন্তু পেট ঠান্ডা রাখার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। এতে রয়েছে ১২০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ এবং ১৮ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি। চিরচেনা এই ফলটি অবশ্য দিনের যেকোনো সময়ে খেতে পারেন। অ্যাসিডিটি দূর করা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে বেশ সুনাম আছে পেঁপের।পাকা বা কাঁচা পেঁপে

ক্যালরি ও ফাইবারসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর পেঁপে কিন্তু পেট ঠান্ডা রাখার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। এতে রয়েছে ১২০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ এবং ১৮ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি। চিরচেনা এই ফলটি অবশ্য দিনের যেকোনো সময়ে খেতে পারেন। অ্যাসিডিটি দূর করা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে বেশ সুনাম আছে পেঁপের।

কমলা: কমলার রস সকালের নাস্তায় অনেকেই কমলার রস পান করে থাকেন। এটি পান করার পারফেক্ট সময় হল সকালবেলা। এর ভিটামিন ডি এবং ফলিক অ্যাসিড সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে মেটাবলিক বৃদ্ধি করে থাকে।

দুধ: দুধ পুষ্টিকর সুষম খাবার বলতে আমরা মূলত দুধকে বুঝি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত। রাতে দুধ পান করুন, এতে শরীর রিল্যাক্স হবে এবং কোষগুলো দুধের পুষ্টি ভালভাবে শুষে নিতে পারবে। তবে দুধ হজম হতে সময় বেশি লেগে থাকে, তাই সকালে দুধ পান থেকে বিরত থাকুন।

ভাত: পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানের মতে ভাত এবং ব্রেড জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল। এটি পেট ভরিয়ে রেখে হজমে সমস্যা করে থাকে। রাতে ভাত ওজন বৃদ্ধি করে, হজমে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি ওজন হ্রাস করতে কিংবা স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অনেকেই সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করে থাকেন। দিনের যেকোন সময় এটি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন, এতে থাকা ক্যাফিন ড্রিহাইড্রেশন এবং অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিকেল অথবা সন্ধ্যায় এটি পান করুন।

টকদই: আয়ুর্বেদ অনুসারে রাতে টকদই খাওয়া হলে, এটি শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে দেয়। যা হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে। সেক্ষেত্রে টকদই দিনে খাওয়ায় ভালো।

সালাদ: খাবারের সঙ্গে সালাদ না হলে তৃপ্তি পান না অনেকে। কাঁচা সবজি ও ফল দিয়ে তৈরি এবং ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর সালাদের জুড়ি নেই। তবে বিভিন্ন রকম সালাদে ব্যবহার করা হয় ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। যেমন: ফলের সালাদে থাকে আপেল, আঙুর, পাকা পেঁপে, তরমুজ, স্ট্রবেরি, আনার/ডালিম, পাকা কলা, কিউই ফল, ড্রাগন ফ্রুট, ব্লুবেরি, আম, চিয়া সিড, কমলা, আনারস ইত্যাদি।

এ ক্ষেত্রে নিয়মিত রঙিন সালাদ গ্রহণে হৃদ্‌রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস, ওজন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাসসহ নানা উপকারিতা রয়েছে।

ডিবিসি/ এসএসএস

আরও পড়ুন