বিবিধ

আজ প্রিয় মানুষকে টেডি উপহার দেওয়ার দিন

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৩:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভালোবাসার সপ্তাহের শুরুটা হয়েছিল রোজ ডে দিয়ে। আর চতুর্থ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে টেডি ডে হিসেবে। প্রিয় মানুষের মান ভাঙাতে উপহার দিন টেডি বিয়ার।

ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বিয়ার। টেডি বিয়ার কে না ভালোবাসেন? প্রেম নিবেদন থেকে শুরু করে মান ভাঙাতে টেডি বিয়ারের জুড়ি নেই। তাই ভালোবাসা সপ্তাহের মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নেয়া হয়েছে টেডি ডে হিসেবে।

বহু ক্ষেত্রেই মানুষের জীবনের ছোটবেলার প্রথম বন্ধু হয় টেডি বিয়ারই। এই টেডি বিয়ারকে ধরেই শুয়ে পড়ে ছোটরা। তাদের বহু গোপন কথা জানে এই টেডি বিয়ার। তারপর বড় হয়ে এসে সেই টেডির সঙ্গে বাড়ে দূরত্ব। তবে আবার এই দিনটিতে কাছের মানুষকে দিতে হয় এই উপহার। এই টেডি বিয়ার কোনও সাধারণ উপহার নয়। এ হল দুটি মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া একটি বন্ধনের প্রতীক। আমিই যে তোমার বিশ্বস্ত বন্ধু, সারাজীবন এভাবেই আমায় পাবে পাশে- এই বার্তা দেওয়া হয়ে থাকে টেডি বিয়ারের মাধ্যমে।

যেভাবে এলো টেডি ডে

১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তখন জর্জরিত তিনি। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে দিন ভালো শিকার পাননি রুজভেল্ট। প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তার সঙ্গীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভাল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে মন চায়নি রুজভেল্টের। সেই সময়ে শিকার নিয়ে গোটা বিশ্বে এতো কড়া আইন ছিল না। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দেন তিনি। সামাজিকভাবেও শিকার ছিল এক বীরত্ব প্রদর্শনের খেলা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী গোটা সমাজকে নাড়া দেয়। পরের দিন সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে উঠে আসে এই মানবিকতার কাহিনী। প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই কাহিনী কার্টুন হিসেবে গোটা আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে।

‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে এই গল্প তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার পিছনে পুঁচকে এক ভাল্লুক ছানা।

সেই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমেরিকার খেলনা কোম্পানি ‘আইডিয়াল নভেলটি অ্যান্ড টয় কোম্পানি’-এর মালিক মরিস মিকটম এবং তার স্ত্রী প্রথম তৈরি করেন টেডি বিয়ার। তবে তা বিক্রি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখেন টেডি। পাশে বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি।

তাকে অবাক করে ক্রেতারা দোকানে ঢুকেই কিনতে চান টেডি। মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। তার ও তার স্ত্রীর বানানো টেডি বিয়ার বিক্রির অনুমতি চান। জন্ম হয় টেডি বিয়ারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হয় আইডিয়াল টয় কোম্পানি।

তারপর থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে টেডি বিয়ার। আদুরে এই পুতুলটি শুধু উপহার হিসেবে ব্যবহার হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘টেডি বিয়ার, মিউজিয়াম পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। টেডি বিয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বই এবং চলচ্চিত্র।

এই দিনটিতে সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ নিজের সঙ্গীর জন্য টেডি বিয়ার কিনে আনেন। প্রতি বছর, দম্পতি এবং তরুণরা তাদের প্রিয়জনকে টেডি বিয়ার দিয়ে ভ্যালেন্টাইনস উইক উদযাপন করেন। টেডি বিয়ার স্নেহের প্রতীক। এই দিনে আপনি টেডি বিয়ারের গায়ে আপনার ও আপনার প্রিয়জনের ছবি লাগাতে পারেন। এরপর সেটি দিয়ে পুরো বাড়িটি সাজাতে পারেন। এটি হয়ে যাবে আপনার প্রিয়জনকে খুশি করার একটি আকর্ষণীয় উপায়।

ডিবিসি/ এসএসএস

আরও পড়ুন