নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে পাগলা মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জসিম নামের একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফতুল্লার তক্কারমাঠে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে এঘটনা ঘটে। আহত অন্যরা হলেন- তক্কারমাঠ এলাকার চুন্নু তার ছেলে রাজকুমার ও আর কে এগ্রো-ফার্মের ম্যানেজার আব্দুস সামাদ।
প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ফতুল্লায় এই প্রথম একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তবু, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্টল গুটিয়ে মাঠ খালি করে চলে গেছেন আয়োজকরা। এটা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের একেবারেই দায়সারা আয়োজন।
কবুতর খামারি মিজান মিয়া বলেন, আর কে এগ্রো-ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠানই কিছু পশু পদর্শন করেছেন। এছাড়া প্রদর্শনীতে আর কেউ পশু প্রদর্শন করেনি। তবে কবুতর, হাস, মুরগী ও বিদেশি নানা প্রজাতির পাঁখি প্রদর্শন করা হয়েছে। আর কে এগ্রো-ফার্মের পশুর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে বড় শিং ওয়ালা ষাঁড়, অনেক উঁচু বড় কালো ঘোড়া। এছাড়া গোলাপি রংয়ের একটি মহিষ প্রদর্শন করেছেন। সেই গোলাপি মহিষটিই বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে আক্রমণ করেছে। মাত্র ২-৩ ঘণ্টা পশু প্রদর্শনী হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা দায়সারা আয়োজন করেছেন। স্থানীয় খামারিরা কেউ জানেনা ফতুল্লার তক্কারমাঠে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। কোনও মাইকিং করা হয়নি। আমন্ত্রণ করা হয়নি স্থানীয় সাংবাদিকদের। অনেকটা গোপনেই কিছু সংখ্যক খামারিদের নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন শেষ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ আয়োজনের নামে সরকারের অনেক টাকা ব্যয় করেছেন তারা। কিন্তু খামারিদের কোনও উপকার হয়নি। যে কয়জন খামারি এসেছেন। তারা তাদের কষ্টের পোষা পশু-পাঁখি দীর্ঘসময় দর্শনার্থীদের দেখাতে পারেনি। প্রচণ্ড রোদে কয়েক ঘণ্টা প্রদর্শন না করে বিকেলের ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রদর্শন করা হলে অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হতো। এতে অনেকেই পশু-পাখি পালনে উৎসাহিত হতেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কৃষিবিদ আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড রোদের কারণে অনেক খামামিরা আসেনি। তবে শতাধিক খামারি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। যারা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে তাদের সকলকেই উপহার দেয়া হয়েছে। যে মহিষটি আক্রমণ করেছে সেটি গোলাপি রঙের এলবিনো মহিষ। রোদের গরমে সে এমন করেছে।
ডিবিসি/এএনটি