পিসির সঙ্গে কিবোর্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কিবোর্ড অবশ্যই কাজ করবে না। তাই নিশ্চিত করুন কিবোর্ডের সংযোগ ঠিক আছে কিনা।
কিবোর্ডের কানেকশন একবার খুলে আবার যুক্ত করে দেখতে পারেন। ব্লুটুথ কিবোর্ড হলে অন অফ করেও দেখতে পারেন। আর পুরো কিবোর্ডটি একবার ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এমন বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে কিবোর্ডটি কাজ করতে পারে বলে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে সমাধান করবেন এই সমস্যার।
সঠিক জায়গায় টাইপ করছেন তো?
কিবোর্ড ঠিক করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে সঠিক স্থানে টাইপ করছেন। উদাহরণ হিসাবে, যদি কেউ ব্রাউজারের ইউআরএল বারে টাইপ করতে চান কিন্তু ওয়েবপেইজের অন্য কোনো স্থানে ক্লিক করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কিবোর্ড সঠিক জায়গায় টাইপ করবে না। আর এতে মনে হতেই পারে যে কিবোর্ড কাজ করছে না। ফলে টাইপ করার আগে নির্দিষ্ট জায়গায় অন্তত দুবার ক্লিক করে দেখুন।
এ ছাড়া, উইন্ডোজের নোটপ্যাড অথবা ওয়ার্ড সফটওয়্যার চালু করেও টাইপ করে দেখে নিতে পারেন কিবোর্ড ঠিক আছে কিনা। এরপরে আবার ব্রাউজারে ফিরে গিয়ে টাইপ করে দেখুন যে কিবোর্ড কাজ করছে না, নাকি ব্রাউজার।
কিবোর্ডের সংযোগ পরীক্ষা করুন:
কোনো কারণে পিসির সঙ্গে কিবোর্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এমন হলে কিবোর্ড অবশ্যই কাজ করবে না। তাই নিশ্চিত করুন কিবোর্ডের সংযোগ ঠিক আছে কিনা।
ইউএসবি কেবলের কিবোর্ড হলে কেবলটি পিসি থেকে খুলে আবার ঠিক করে লাগিয়ে দেখতে পারেন। পাশপাশি, ওয়্যারলেস কিবোর্ড হলেও নিশ্চিত করুন সংযোগ ঠিক আছে কিনা। ওয়্যারলেস সংযোগ বন্ধ করে আবার চালু করে দেখতে পারেন।
যদি ব্লুটুথ কিবোর্ড ব্যবহার করেন তবে পিসির ব্লুটুথ সেটিংস থেকে ‘ফরগেট ডিভাইস’ দিয়ে আবার ‘পেয়ার’ করে নিন। ওয়্যারলেস কিবোর্ডে ব্যাটারিও প্রয়োজন হয়, কিবোর্ডে চার্জ আছে কিনা সেটিও পরীক্ষা করে দেখুন।
কিবোর্ডের সংযোগ ঠিক আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করার সহজ উপায় হল ‘ক্যাপস লক’ বাটনে চাপ দেওয়া। কিবোর্ডের ক্যাপস লকের আলো জ্বলে উঠলে বোঝা যাবে কিবোর্ডে সংযোগ আছে ও কমান্ডগুলো কাজ করছে।
পিসি রিস্টার্ট করুন:
যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের কোনো সমস্যা সমাধানে বহুল প্রচলিত পদ্ধতি হল ডিভাইসটি বন্ধ করে আবার চালু করা। অনেক সময়েই ডিভাইসের সমস্যা ঠিক হয়ে যায় এর মাধ্যমে। কিবোর্ড কাজ না করে, কিবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত পিসিটি রিবুট করে দেখুন।
কিবোর্ড পরিষ্কার করুন:
কিবোর্ড অপরিষ্কার হলে একটি বা দুইটি ‘কি’ তে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, বিশেষভাবে অপরিষ্কার হলে বা তরল জাতীয় কিছু কিবোর্ডের ওপরে পড়লে এটি ঠিকমত কাজ করে না। কিবোর্ডটি পরিষ্কার করলে এ সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি, কাজ করার ডিভাইস পরিষ্কার রাখাই ভালো। কিবোর্ড পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল কি ক্যাপের নিচ থেকে ময়লা সরিয়ে ফেলার জন্য ‘কমপ্রেসড এয়ার’ ব্যবহার করা। এ ছাড়া, বাজারে বিভিন্ন কিবোর্ড পরিষ্কারের ব্রাশ পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য কি-ক্যাপগুলো সরিয়ে, একটি কাপড় বা তোয়ালেতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহর নিয়ে কিবোর্ডটি ভালোভাবে মুছে ফেলুন। এ প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে কিবোর্ড লে আউটের একটি ছবি তুলে রাখতে পারেন। এতে করে কি ক্যাপগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে না।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন:
অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ আপডেট ইনস্টল করলে তেমন ক্ষতি হয় না। হয়তো আপডেটে কিবোর্ড সংক্রান্ত কোনো কিছু নাও থাকতে পারে। তবে, হয়তো কিবোর্ডের সমস্যা অন্য কোনো ত্রুটির কারণে হচ্ছিল যা নতুন আপডেটে ঠিক করা হয়েছে। ফলে, উইন্ডোজ, ম্যাকওএস বা ক্রোমওএসের সর্বশেষ সংস্করণ ইনস্টল করার উপদেশ দিয়েছে ডিজিটাল ট্রেন্ডস।
ম্যালওয়্যার স্ক্যান করুন:
বিভিন্ন ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস পিসিতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনেক সময় ম্যালওয়্যারের জন্যও কিবোর্ডে সমস্যা হতে পারে। পিসির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সর্বশেষ সংস্করণে আপডেট করে একবার ম্যানুয়াল স্ক্যান করুন। তারপর পিসিটি রিস্টার্ট দিয়ে দেখুন কিবোর্ড কাজ করছে কিনা।
ডিবিসি/এএনটি