ভোক্তা পর্যায়ে বাড়নো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। চলতি আগস্টে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১১ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জুলাই মাসে যার দাম ছিল এক হাজার ৩৬৬ টাকা।
আজ রবিবার (৪ঠা আগস্ট) বিকেল ৬টা থেকে এ নতুন দর কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বিইআরসি।
প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্প-কারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ১১৪ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম বেড়েছে। যদিও বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ভোক্তাকে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। বাজার ঘুরে সে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত জুন মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল এক হাজার ৩৬৩ টাকা, মে মাসে ছিল এক হাজার ৩৯৩ টাকা, এপ্রিলে দাম ছিল এক হাজার ৪৪২ টাকা, মার্চে এক হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৪৭৪ টাকা, জানুয়ারিতে ছিল এক হাজার ৪৩৩ টাকা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল এক হাজার ৪০৪ টাকা, নভেম্বরে ছিল এক হাজার ৩৮১ টাকা, অক্টোবর মাসে ছিল এক হাজার ৩৬৩ টাকা, সেপ্টেম্বরে ছিল এক হাজার ২৮৪ টাকা, আগস্ট মাসে এক হাজার ১৪০ টাকা, জুলাই মাসে ছিল ৯৯৯ টাকা, জুনে ছিল এক হাজার ৭৪ টাকা, মে মাসে ছিল এক হাজার ২৩৫ টাকা ও এপ্রিলে ছিল এক হাজার ১৭৮ টাকা।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।