যশোরের কেশবপুরে বন্যায় ৩ হাজার ৬৪০টি মাছের ঘের ও ২ হাজার ৪২০টি পুকুর ভেসে গেছে। এছাড়া ৩ হাজার ১৭৩ হেক্টর আমন ধান তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও। এর ফলে মাছ চাষি ও কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের উপচে পড়া পানির কারণে কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মাছ চাষিদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার ফয়েজ হোসেনের বাড়ির ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়ায় তারা পাশের একটি উচু ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির উঠানে বন্যার পানিতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন অনেকে।
অপরদিকে খানপাড়ার কয়েকটি পরিবারের লোকজন যশোর-চুকনগর সড়কের মধ্যকুল তেলপাম্প এলাকার একটি উচু ভবনে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। হরিহর নদের মধ্যকুল এলাকা দিয়ে নদ উপচে পানি ঢোকা বন্ধ করতে গ্রামবাসীকে বাঁধ নির্মাণ করতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টির পাশাপাশি নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ৩ হাজার ১৭৩ হেক্টর আমন ধান, ৩০০ হেক্টর সবজি, ২১ হেক্টর মরিচ, ৩০ হেক্টর হলুদ, সাড়ে ৯ হেক্টর তুলা, ২১ হেক্টর আখ, সাড়ে ২৫ হেক্টর পান ও ২৫ হেক্টর বড়ই ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, বন্যার পানিতে কেশবপুরে প্রায় ৩ হাজার ৬৪০ টি মাছের ঘের ও ২ হাজার ৪২০ পুকুর ভেসে গেছে। এতে মাছ চাষিদের প্রায় ২ হাজার ১৫ মেট্রিকটন মাছ ভেসে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ডিবিসি/এসএইচ