বাংলাদেশী অর্থ ও নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া মধ্যমগ্রামের বঙ্কিম পল্লী থেকে ভারতীয় ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-ইডি প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশী অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশী অর্থ ও নারী পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ বসু, পিংকি বসু এবং তাদের গাড়ীচালক পিন্টু হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-ইডি ভারতের মোট ১৭টি জায়গায় একযোগে তল্লাশী অভিযান চালায়। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১২ জায়গা। ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিজিৎ ও পিংকিকে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর ইডির পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির করবেন।
আগামীকাল সকালে তাদের বারাসাত আদালতে হাজির করা হবে বলেও ইডি সূত্রে জানা যায়। এদিন ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের অপর একটি দল হাবরার পার্থ সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয়। প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরার পর তদন্তকারী কর্মকর্তারা বের হয়ে যান।
বনগাঁর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা ও অভিজিতের ট্যাক্সি ড্রাইভার পিন্টু হালদারের বাড়ীতে স্বর্ণ পাচার, নারী পাচার, একাধিক হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং সর্বোপরি ক্রিকেট বেটিং সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি এবং তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবী ইডি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের। তাই অভিজিৎ বসু ও পিংকি বসুর সঙ্গে পিন্টু হালদার কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আগামীকাল গ্রেপ্তার ৩ ভারতীয় নাগরিককে একসাথে আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য অপরাধীদের তথ্য বের করা হবে বলে জানা যায়।
ডিবিসি/এএনটি