বৃষ্টির কারণে ম্যাচটা নেমে এসেছিল ৪৭ ওভারে। তবে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড ৪৭ ওভারও পুরো খেলতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের রান ২০০ পেরোনোর পেছনেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা পঞ্চম উইকেটে চ্যাপম্যান-হের ৭৮ বলে ৭৫ রানের জুটিটার। বাকি প্রায় সব কিউই ব্যাটসম্যানই ভুগেছেন আজ, এই দুজন ছাড়া আর বলার মতো রান শুধু ওপেনার উইল ইয়াংয়ের ৪০ বলে ২৬।

এদিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মহীশ তিকশানা ও জেফরি ভ্যান্ডারসে। দুজনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। তবে তিকশানাই ছিলেন বেশি কৃপণ, ৯.১ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৩১। বোলারদের দারুণ সহযোগিতা করেছেন লঙ্কান ফিল্ডাররাও।

তাড়া করতে নামা শ্রীলঙ্কা উইকেট হারিয়েছে প্রায় নিয়মিত বিরতিতে। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও ভীষণ অবিচল ছিলেন তিনে নামা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস। আগের ম্যাচে যিনি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬৩ রানে শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মেন্ডিসকে ব্যাট হাতে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তিকশানা। নিউজিল্যান্ডের দিকে কিছুটা হেলে পড়া ম্যাচ শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা জিতে নিয়েছে মেন্ডিস-তিকশানার দারুণ কার্যকর ওই জুটিতেই। দুজন মিলে ৫৯ বলে করেছেন ৪৭ রান।

ম্যাচসেরা মেন্ডিস শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ৬ চারে করেছেন অপরাজিত ৭৪ রান, তিকশানা অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রান করে। ১ ওভার হাতে রেখে ম্যাচ জিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেটাকে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা বানিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। 

ডিবিসি/কেএলডি