শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৬ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমানবন্দর থেকে মাঝ আকাশে বাংলাদেশের মানচিত্রের রুটম্যাপ তৈরি করতে উড্ডয়ন করেন তিনি। ফ্লাইটটি অবতরণ করে রাত ১টা ৫৪ মিনিটে। 

আকাশে গোটা ম্যাপটি তৈরি করতে ফাহিমের উড্ডয়ন করতে হয়েছে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা।

জানা যায়, ফাহিম বাংলাদেশের গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি থেকে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেছেন। বর্তমানে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণরত আছেন।

ফাহিম চৌধুরী গণমাধ্যমে জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তিতে একটি বিশেষ কাজ করার চিন্তা থেকেই এ ম্যাপটি তৈরি করেছেন তিনি। ফ্লাইট রাডার ব্যবহার করে মানুষ অনেক ধরনের অদ্ভুত ও সৃজনশীল জিনিস আঁকে, যা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হোন। দেশের ইতিহাস অনেক সংগ্রামী, তাই এ ম্যাপটি তৈরি করতে গিয়ে তিনি চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে।

সেসনা-১৭২ ব্র‍্যান্ডের এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন ফাহিম। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার বন্ধু আসাদ আবদুল্লাহ। যিনি পুরো সময় তার পাশে ছিলেন। এ ম্যাপ তৈরি করতে গিয়ে অনেক আবেগ অনুভব করেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, এ ম্যাপের মাধ্যমে আমি আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চেয়েছি। তারা যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা দেশের প্রতি আমার ভালোবাসাকে আরও গভীর করে তোলে। স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যে পরিমাণ কষ্ট, ত্যাগ আর সংগ্রাম ছিল, তা ভেবে আমি সত্যিই গর্বিত।

ডিবিসি/কেএলডি