শুক্রবার (৩রা জানুয়ারি) মাহফিল প্রাঙ্গনে সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে মানুষ আসতে শুরু করেন। বিকেল থেকে মাহফিল স্থান ছাপিয়ে সড়ক, মহাসড়কেও শিশু, নারী, পুরুষের ঢল নামে। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই মাহফিলে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসা শুরু করেন। দুপুরের পর সড়কে যানজট দেখা দেয়। এজন্য অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান। এদিন সন্ধ্যায় আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহও বক্তব্য রাখেন।

যশোরের পুলেরহাটে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে রাত ১০টার দিকে বয়ান শেষে তারা বাড়ি ফিরে যান। এদিকে এ মাহফিলকে ঘিরে যশোর শহরের একাংশ, মুড়লি, টার্মিনাল, চাঁচড়া পুলেরহাট, নতুনহাট, ধর্মতলা, আরবপুর পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। অনেকেই মাহফিল পর্যন্ত পৌঁছাতে না পেরে বাড়িতে ফিরে যান। এছাড়াও লাখলাখ মানুষের উপস্থিতিতে ১০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

রাত নয়টায় মিজানুর রহমান আজহারী মঞ্চে উঠেন। এ সময়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা একটি আশীর্বাদ হতে পারে যদি আমরা তাদের যথাযথভাবে দক্ষ করে তুলতে পারি।’ তিনি ইউনূস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করতে হবে।’

ডিবিসি/কেএলডি