নেত্রকোণার পূর্বধলায় বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ রূপ দিয়েছে সংঘর্ষ। ঘটনা গড়িয়েছে দুটি মামলায়। এরপর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে নারান্দিয়া ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রাম। এখন আতঙ্কে রয়েছে নারী ও শিশুরা। তবে পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি যাই হোক, নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার হবিবপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলের সাথে প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার মেয়ের বিয়ে না হওয়াকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ে হওয়ায় বিরোধ নতুন রূপ নেয়।
ঘটনা গড়াতে গড়াতে গত ১২ই জুন রাতে জুয়েল মিয়ার বাড়িতে হামলা হয়। খবর পেয়ে শ্যামগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সংঘর্ষ বাধে। যা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাইলাটি গ্রামেও। এতে আহত হয় ৫ পুলিশসহ বেশকয়েকজন।
এ ঘটনায় পুলিশ ও জুয়েল মিয়া বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ইউপি সদস্যসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৮০-৯০ জনকে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার অভিযানের শুরু হলে ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে হবিবপুর গ্রাম।
গ্রামবাসীরা বলছেন, একটি বিয়ের বিরোধ এখন পুরো গ্রামকে আতঙ্কে ফেলেছে। আমরা বাসায় থাকতে পারছি না। মামলার পর গ্রামের সব পুরুষ মানুষ অন্য কোথাও চলে গেছে। গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে গেছে।
পুলিশ বলছে, নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। নিরিহ কেউ ফেঁসে না যায়, সেদিকে সতর্ক থাকবে পুলিশ এমন প্রত্যাশা সাধারণ গ্রামবাসীর।
ডিবিসি/এএমটি