যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্র্যাফটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পার্সির মতে, ইরানের ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলা আগামী এক দশকের মধ্যে দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়াকে ‘এক প্রকার নিশ্চিত’ করে ফেলেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পার্সি বলেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে থাকার ‘কোনো প্রমাণই ছিল না’। "পরিস্থিতিটি অস্তিত্বের সংকটও ছিল না, বা আসন্ন কোনো হুমকিও ছিল না।"
পার্সি বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আমাদের বাস্তবতাকে মনে রাখতে হবে, যেখানে দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ (যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল) এমন একটি দেশকে আক্রমণ করেছে যাদের পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং যারা প্রথমে কোনো আক্রমণ করেনি। ইসরায়েল ইরানের দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, বরং তারাই যুদ্ধ শুরু করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, তারাই এই মুহূর্তে সংঘাতের সূচনা করেছে।
ত্রিতা পার্সি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, ইরানের ওপর এই হামলার ফলে বিশ্বজুড়ে একটি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের রোষানলে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, তারা পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি আশঙ্কা করছি যে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার দেখতে পাব। তবে আমি এটাও মনে করি যে, এই হামলাটি কমবেশি এটা নিশ্চিত করে দিয়েছে যে, এখন থেকে পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে ইরান একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
ত্রিতা পার্সির মতে, এই হামলা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের দিকে আরও বেশি করে ঠেলে দেবে, কারণ দেশটি ভবিষ্যতে এ ধরনের আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রকে একমাত্র উপায় হিসেবে দেখবে।
ডিবিসি/ এমইউএ