পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত দুশো জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ই আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে।
বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলট সহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন বলে খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধ্বসে আটজন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকিয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে এটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানায়, যে খাইবার পাখতুনখোয়াকে 'বিপর্যস্ত এলাকা'হিসাবে ঘোষিত করা হতে পারে।
মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধ্বসে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি দেহ উদ্ধার করা গেছে। বুনেরের ডেপুটি কমিশনারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে, মাত্র ৭৮টি দেহ হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দেহগুলো হাসপাতালে বহন করে নিয়ে আসা যায় নি। এর মধ্যে শুধু গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন।
চাঘারজাই তহশিলে একটি ভবন চাপা পরে একই পরিবারের ২২ জন সদস্য মারা গেছেন। উদ্ধার-কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন হিগুকান্দ এবং পীর বাবা এলাকায় বন্যায় বহু নারী ও শিশু আটকিয়ে পড়েছে। আল মদিনা নামের একটি হোটেল সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়াতে ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২জন শিশু রয়েছেন।
বিবিসি/কেএলডি