বাংলাদেশ, জাতীয়

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার

ডেস্ক ‍নিউজ

ডিবিসি নিউজ

৫ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গণমাধ্যমকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ধরনের বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার ও প্রচার থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও বা বক্তব্য প্রচার করা আইনত নিষিদ্ধ। 

 

বিবৃতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের কথাও উল্লেখ করা হয়, যার জেরে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।

 

এর আগেও, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত বিষয়বস্তু সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। 

 

অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, কিছু গণমাধ্যম সেই আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সম্প্রতি শেখ হাসিনার মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছে। এই প্রেক্ষাপটেই নতুন করে এই কঠোর সতর্কতা জারি করা হলো।

 

বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেসকল গণমাধ্যম এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

সরকারের মতে, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

সরকার মনে করে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার শুধু জনসাধারণকে বিভ্রান্তই করবে না, বরং দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। 

 

এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের আইনের আওতায় আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন