প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯-এর ৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি বেগমকে আসামি করা হয়।

ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এটিকে ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে জড়িতদের কোনো ছাড় না দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি তদন্ত টিম ঈশ্বরদীতে আসে।

এদিকে এই অমানবিক ঘটনার জেরে ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ইউএনও জানান, তাকে মঙ্গলবারই বাসা ছাড়ার লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ইতিমধ্যে বাসা খালি করে চলে গেছেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০শে নভেম্বর) সন্ধ্যার পর গেজেটেড ভবনে বসবাসরত কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি আকতারের বিরুদ্ধে ৮টি কুকুরছানা ডুবিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ইউএনও’র বাড়ির কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সকালে কর্মকর্তার ছেলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে তার মা ছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলেছে। পরে পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় আটটি মৃত ছানা উদ্ধার করা হয়।

ডিবিসি/পিআরএএন