জাতীয়, অর্থনীতি, অপরাধ

অনলাইন ক্যাসিনো সাইটের লেনদেন চিহ্নিত করা কঠিন

ইসতিয়াক হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৩রা অক্টোবর ২০১৯ ০৫:২০:৫৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অনলাইনে সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে সতর্ক রয়েছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অথবা ডুয়েল কারেন্সি এটিএম কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ক্যাসিনো খেলার ডলার কিনছে জুয়াড়িরা। তবে ক্যাসিনো সাইটগুলোর এসব লেনদেন চিহ্নিত করা কঠিন- বলছে ব্যাংকগুলো। তবে দেশীয় অনলাইন জুয়ারিদের ধরতে সাইবার ফরেনসিক পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের।

২০১৭ সালে শুধু অনলাইন দুনিয়াতেই ৪৬ বিলিয়ন ডলারের জুয়াবাজি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সেলিম প্রধান অনলাইন ক্যাসিনো চালিয়ে মাসে আয় করতো প্রায় ৯ কোটি টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন- ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাসিনো চলে অনলাইন দুনিয়ায়। কিছু সাইট থেকে ক্যাসিনো খেলার ডলার কিনে জুয়ারিরা। বাংলাদেশে সেই ডলার কেনা বা বিক্রির জন্য ব্যবহার হয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। 

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস,বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এদেশের অনেকেই তাদের নরমাল যে ক্রেডিট কার্ড তা দিয়ে জুয়ার জন্য ডলার কিনে। গ্যাম্বলিং করে টাকা জেতার পর ঠিক যেভাবে তারা খেলার জন্য টাকা কিনে সেভাবেই টাকা বের করে।

ক্যাসিনো সাইটগুলোকে ব্যাংকের পক্ষে চিহ্নিত করা কঠিন। তবে সন্দেহজনক এসব লেনদেন নিয়ে সতর্ক রয়েছে ব্যাংকগুলো।  

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি ও চিফ অপারেটিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্যাসিনো খেলতে লেনদেনের জন্য যেসব সাইট খোলা হয় তা কিন্তু অনেক দেশেই সীমাবদ্ধ আছে। এসব টাকা বাইপাস করা হয় মাস্কিং এর মাধ্যমে। কেউ দেখলে বুঝবেও না এগুলো যে ক্যাসিনো সাইট।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন- অনলাইন জুয়াতে বাড়ছে অর্থ ও তথ্য পাচারের ঝুঁকি।  তবে ব্যাংকগুলো বলছে- কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচার সম্ভব নয়। 

ক্যাসিনো সাইট বা অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করা কঠিন। তাই অনলাইন জুয়ার লেনদেনের তথ্য বের করতে সাইবার ফরেনসিকের পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন সাব্বিরের।

তিনি বলেন, সরকারকে এসব সাইট বন্ধে আরও নজরদারি করতে হবে। সরকারের উচিত এসব সাইট কে খুলছে, কোথা থেকে খুলছে, কারা কারা এসবের সঙ্গে জড়িত তার দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়া।

সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলছেন তারা। 
 

আরও পড়ুন