দেশজুড়ে নানা আয়োজনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীতে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব নেতা। এছাড়া কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা আয়োজন ছিলো দিনজুড়ে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এর আয়োজন করে। পরে, অসহায় নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরেও বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। মেরুল বাড্ডায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করে বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশন।
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শোভাযাত্রা করেছে ছাত্রলীগ।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হয় শেখ হাসিনার জন্মদিন। শনিবার সকালে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শুরু হয় আয়োজন।
পরে, এক শিশু সমাবেশে কেক কাটেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী। পরে, উন্মোচন করা হয় বঙ্গবন্ধু স্মারক গ্রন্থ।
এদিকে, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন। এছাড়া, আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রলীগ।
চট্টগ্রামে কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা বিভিন্ন সংগঠন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
খুলনা ও যশোরে শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া করা হয়।এছাড়া, সিলেট, ঝিনাইদহ, শরিয়তপুরসহ সারাদেশে আনন্দ মিছিল, সমাবেশ, কেক কাটা, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে উৎযাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন।