নিজের দেহ দান করে গেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ।তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে দেওয়া হবে গবেষণার জন্য।
রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে মারা যান হাসান আরিফ। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল হাসান আরিফকে। লম্বা সময় ধরে চলা চিকিৎসায় শরীরে অক্সিজেন জটিলতার কারণে বেশ কয়েকবারই তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। সেখান থেকে তার আর বাসায় ফেরা হয়নি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ জানান, শুক্রবার হাসপাতালেই মরদেহের গোসল হয়েছে; রাতে হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।
শনিবার সকাল ৯টায় কফিন ধানমণ্ডির বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে কফিন।
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আরেক দফা জানাজা শেষে কফিন নিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একইসঙ্গে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লার সাহেব বাড়িতে জন্ম নেওয়া হাসান আরিফ আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত হন আশির দশকে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
দেশে আবৃত্তিচর্চার বুনিয়াদ গঠন এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে হাসান আরিফের ছিলেন সক্রিয়।