বাংলাদেশ, জাতীয়, অপরাধ

অনলাইন বেটিং সাইটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বিদেশে

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অনলাইন বেটিং সাইটের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তিন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ইমেইলে নিবন্ধনের পর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লোকাল এজেন্টকে টাকা দেয় জুয়াড়ি।

তারপর সেই টাকার কমিশন কেটে রাখে লোকাল এজেন্ট, মাস্টার এজেন্ট ও সুপার এজেন্ট। সবশেষে ধাপে বাকি টাকা ডলারে রূপান্তর করে দেশের বাইরে থাকা সুপার অ্যাডমিনের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আইপিএলসহ প্রায় সব ধরনের খেলা নিয়ে জুয়া চলছে ‘বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ’, ‘নাইন উইকেটস’সহ বিভিন্ন বেটিং সাইটে।

তিনজনকে ধরার পর অনলাইন বেটিং সাইটে নিবন্ধিত হাজারো বাংলাদেশির নেটওয়ার্কের খোঁজ রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। জুয়ার রাজ্যে তাদের কেউ লোকাল, মাস্টার কিংবা সুপার এজেন্ট। তাদের একেকজনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শত শত সাধারণ জুয়াড়ি। সবার উপরে সুপার অ্যাডমিন থাকে বিদেশে। আটককৃতদের একজন জানান,'ফেসবুকে একটা পোষ্ট দিতে হয় যে, আমার একটা আইডি লাগবে। তখন এডমিন আপনাকে একটা এজেন্ট দিবে। ওই এজেন্টের মাধ্যমে খেলতে পারবেন।'

জুয়া খেলতে প্রয়োজন পড়ে পার বেটিং ইউনিট বা পিবিইউ। বর্তমানে এক ইউনিট পিবিইউ-এর দাম একশ' টাকা। সুপার অ্যাডমিন নিয়োগ দেয় লোকাল, মাস্টার ও সুপার এজেন্ট। তারপর জুয়াড়িদের কাছে পিবিইউ বিক্রি করে তারা। সেই টাকার পাঁচ শতাংশ হারে কমিশন পায় এজেন্টরা। বাকি টাকা ডলারে রূপান্তর করে সুপার অ্যাডমিনের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। জুয়ায় জিতলে পিবিইউ জমে জুয়াড়ির অ্যকাউন্টে। পরে তা এজেন্টদের মাধ্যমে টাকায় রূপান্তর করে নেয়া যায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ (রমনা) উপ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন,'সার্কলের মধ্যে একশ' লোক থাকতে পারে। কোথাও এক হাজার বা বড় সার্কেল হলে ১০ হাজার লোক থাকতে পারে। তাদের এজেন্ট ও সাব এজেন্ট আছে। তারা বসে বসে এ খেলাটা খেলে এবং পয়েন্ট জিতে। সেই পয়েন্টকে পরে তারা কারেন্সিতে রুপান্তর করে।'

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ঘরে বসে আয়ের প্রলোভনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের আকৃষ্ট করছে বিভিন্ন জুয়াড়িচক্র। ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ (প্রশাসন) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন,'ছাত্র থেকে শুরু করে অনেকেই এই প্লাটফর্মের মধ্যে জুয়া খেলছে। সব সময় তো কোন না কোন খেলা হচ্ছে। সেই খেলার ওপর অনলাইনে এই জুয়া খেলাটা হয়ে থাকে।'

পুলিশ এখন অনলাইন বেটিং সাইটে জড়িত বাংলাদেশি হোতাদের ধরার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন