বাংলাদেশ, প্রবাস

অভিবাসী কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচী নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো

মুহাম্মদ খালেদ হাসান

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২রা জুলাই ২০২০ ০৯:৩৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অভিবাসী কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচী নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ। এদের মধ্যে সৌদি আরব আগে থেকেই বিদেশি কর্মী বাদ দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার কারণে তা হতে পারে আরো জোরদার। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে দেশে ফিরতে পারে কয়েক লাখ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী।

এপ্রিলের শুরু থেকেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশ বেকার কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। করোনার মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় গেলো ১ এপ্রিল থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরত এসেছে ১৪ হাজার ৬শ ৯২ জন অভিবাসী কর্মী। যাদের মধ্যে ৯৪ জন নারী। কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত,  থেকে ফিরেছে এসব কর্মী। তাদের মধ্যে মালদ্বীপ ফেরৎও রয়েছেন।

এদিকে সৌদী আরব বাংলাদেশের সবচে বড় শ্রমবাজার। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারী চাকরীতে ৭০ শতাংশ সৌদি নাগরিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সাথে করোনায় চাকরী হারানোর সংখ্যা যোগ হলে ফিরতে পারে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশি। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে নতুন বাজার খুজতে চিঠিও দিয়েছিলো দূতাবাস।

বিএমইটির হিসেবে শ্রমবাজার চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ৪০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী গেছে। বর্তমানে রয়েছে ২২ লাখ বাংলাদেশি যার মধ্যে ২ লাখের বেশি অবৈধ।

মোবাইল ফোন কোম্পানী কিংবা প্রসাধনী দোকানগুলোতে কোন বিদেশি অভিবাসী কাজ করতে পারবে না বলে এরই মধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি সরকার। করোনার কারণে আকামার মেয়াদ শেষ হ্ওয়ায় আকামা নবায়ন করতে পারেনি অনেকেই। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হ্ওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়তে পারেন কয়েক লাখ অভিবাসী। তাদেরকেও ফেরৎ পাঠানো হতে পারে।

বিভিন্ন সময় ইয়েমেন, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার কর্মী ফেরত পাঠানোর ইতিহাস রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই তেল সমৃদ্ধ দেশটির।

আরও পড়ুন