আন্তর্জাতিক, আমেরিকা

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ায় সাড়ে ১২ লাখের বেশি মৃত্যু

Faruque

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২০শে জানুয়ারী ২০২২ ১১:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

২০১৯ সালে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে সাড়ে ১২ লাখের বেশি মৃত্যু হয়।

বিশ্বের ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য বিশ্লেষণ করে একথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকরা।  একই বছর, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সাথে ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু জড়িত ছিল।  এদিকে, ব্যাকটেরিয়ার কারণে যক্ষার মতো রোগগুলো ফিরে এসেছে।  সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।  গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রতি ৫ জনের একজনের মৃত্যু হয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—অ্যান্টিবায়োটিকরোধী ব্যাকটেরিয়ায় দরিদ্র দেশগুলো সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকি।

অ্যান্টিবায়োটিকরোধী ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্ট সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে নতুন ওষুধের জন্য জরুরি বিনিয়োগ এবং বর্তমান ওষুধগুলোকে আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করতে প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়—সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামান্য অসুখ-বিসুখে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার হওয়ার কারণে গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে।

আগে মানুষ যেসব সংক্রমণ থেকে চিকিত্সায় সেরে উঠত, এখন সেসব সাধারণ সংক্রমণেও মানুষ মারা যাচ্ছে। এর কারণ—সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো দিনে দিনে চিকিত্সা প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সম্প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যে—অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) একটি ‘লুকানো মহামারি’। তাঁরা বলছেন—অ্যান্টিবায়োটিক আরও সতর্কভাবে ব্যবহার করা না হলে চলমান কোভিড মহামারির প্রেক্ষাপটে এএমআর আরেক মহামারি হিসেবে দেখা দিতে পারে।

ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এএমআর সংক্রান্ত বৈশ্বিক মৃত্যুর হিসাবটি ২০৪টি দেশ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।

গবেষক দল হিসাব করে দেখেছেন যে, ২০১৯ সালে ৫০ লাখ লোকের মৃত্যুর পেছনে এএমআর-এর ভূমিকা ছিল। আর, একই সঙ্গে ১২ লাখ মানুষ সরাসরি এএমআর-জনিত অসুস্থতায় মারা গেছে।

একই বছরে, এইডসের কারণে আট লাখ ৬০ হাজার মানুষের  এবং ম্যালেরিয়ার কারণে ছয় লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন