পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলকে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের একাংশের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন খান বাদলের মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে আসবে। এরপর, শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন খান বাদলের মরদেহ।
বাংলাদেশ জাসদের একাংশের নেতা, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন খান বাদল গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ৬৭ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা বেশ কিছুদিন ধরেই নানান রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দুই বছর আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মইন উদ্দীন খান বাদল গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। পাশাপাশি তার হৃদরোগের সমস্যাও ছিল।
গত ১৮ই অক্টোবর নিয়মিত চেকআপের জন্য নারায়ণ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর, বৃহস্পতিবার ভোরে নায়ারণ হৃদরোগ হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মইন উদ্দীন খান বাদল। তাঁর মৃত্যুত শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
১৯৫২ সালে চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে জন্ম নেয়া মইন উদ্দীন খান বাদল রাজনীতি শুরু করেন ছাত্রলীগ দিয়ে। ষাটের দশকে ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াসে যুক্ত বাদল অংশ নেন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন জাসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি পান তিনি।