মহামারি করোনায় বন্ধ ক্রিকেট একাডেমিগুলোর কোচিং কার্যক্রম। যাদের রুটি রুজি এই একাডেমি, তেমন পাঁচ শতাধিক কোচ আজ বেকার। অধিকাংশই পড়েছেন অর্থনৈতিক দৈন্যদশায়। কি করবেন? কার কাছে যাবেন কিছুই যেনো জানেনা তারা। এমন দূর্বিসহ অবস্থায় উপায়ান্তর না পেয়ে বিসিবির দারস্থ হয়েছেন কোচেরা। মিলেছে আশ্বাস।
নিস্তব্ধ পড়ে আছে মাঠগুলো। অথচ দুই মাস আগেও এ সব মাঠ সকাল, বিকাল স্বপ্নবাজ ক্রিকেট পাগল শিশু-কিশোরদের পদচারনায় সরগরম থাকতো, চলতো ক্রিকেট একাডেমির অনুশীলন কার্যক্রম।
মাঠে নেই খেলা। বন্ধ অনুশীলনও। তাতে বিসিবির অধিভুক্ত ৮৬টি সহ দেশ জুড়ে ছোট বড় প্রায় দুশো ক্রিকেট একাডেমি অকার্যকর হয়ে পড়ছে। করোনা সংকটে কোচিং বন্ধ, যাতে ক্ষতির মুখে পড়েছে একাডেমিগুলো। যাদের রুটি রুজি এসব একাডেমি ঘিরে, সেই কোচরাও এখন চরম দুরবস্থায়।
দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার কারিগর তারা। নিজেদের উজাড় করে দিয়ে গড়ে তুলছেন ভবিষ্যত টাইগাদের। দু:সময়ে তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। অথচ দূর্যোগে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের পাশে দাড়িয়েছে বিসিবি। ঢাকা মেট্রো প্রাইভেট ক্রিকেট একাডেমির আওতায় বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট এসব একাডেমি পরিচালনা করলেও পান না কোন অনুদান। উপায়ন্তর না পেয়ে সরাসরি বিসিবির দারস্ত হয়েছেন একাডেমির কোচেরা।
বিসিবির তালিকাভুক্ত ছাড়াও সারাদেশে এক হাজারেরও বেশি একাডেমি আছে। কোচ আছেন প্রায় দুই হাজার জন।