৯ই নভেম্বর রাতে অথবা ১০ই নভেম্বর সকালের দিকে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'।
কলকাতা থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে এবং উপকূলীয় এলাকা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ভারতের অবহাওয়া অধিদপ্তর এ খবর নিশ্চিত করেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নেয়া ঝড়টি শনিবার সকালের দিকে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা। এরপর রবিবার সকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনি ও রবিবার উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া , হুগলি এবং নদিয়াতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় সমুদ্রগামী জাহাজ এবং জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি পর্যটকদের সাবধানে থাকতে বলেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি সবধরনের নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা, বরিশালের উপকূল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। ৯ই নভেম্বর রাতে অথবা ১০ই নভেম্বর সকালের দিকে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।