চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়ালেও গত পাঁচদিনে শহরটিকে নতুন কোন আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় শহরটির বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বের হতে শুরু করেছে।
শহরটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। উহানের স্থায়ী বাসিন্দা, যাদের কাছে পরিচয়পত্র আছে তারা কোনো বাধা ছাড়াই শহরে ঘুরে বেড়াতে পারছেন।
অনুমতিপত্র থাকলে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা কাজে যোগ দিতে পারছেন। শহর ছেড়ে অন্য স্থানেও যেতে পারছেন। তবে শহর ছাড়তে তাদের প্রয়োজন হচ্ছে চিকিৎসকের ছাড়পত্র।
উহানে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে হুবেইয়ের অন্য স্থানগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে গতকালও উহানে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন।
চীনে আক্রান্তের সংখ্যা যখন কমতে শুরু করেছে তখন বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ ইতালি। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে মারা গেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক।
চীন এখন বিদেশ থেকে আসা আক্রান্তদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫০ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। সোমবার মোট ৩৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, এদের মধ্যে সাংহাইয়ে ১০ ও বেইজিংয়ে ১০ জন। উহানের মতো চীনের অন্য শহরগুলোতে নতুন করে আগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
তবে রাজধানী বেইজিংয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব ধরনের ছাড়পত্র পেলেই তবে বেইজিংয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও বেইজিংয়ে প্রবেশের পর তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
গত রবিবার করোনাভাইরাস প্রতিশেধকের প্রথম পরীক্ষামূলক টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করেছে। এর আগে আমেরিকা তাদের তৈরী ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়াসহ আরও কিছু দেশ টিকা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের শুরু চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। শহরটির একটি প্রাণী বাজার থেকে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে শুরু করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সংক্রমণ চীন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুসারে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ১৯২টি ।