শেরপুর জেলা সদরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে, ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে অস্ত্রোপচারকৃত প্রসূতির চিকিৎসা না দিয়ে ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্স কৌশলে পালিয়ে যায়।
স্বজনরা জানান, জেলা শহরের খোয়ারপাড় মহল্লার শাহিনুর রহমান পনিরের স্ত্রী তানিয়া সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র তত্ত্বাবধানে থাকে।
সোমবার সকালে, পনিরের স্ত্রী তানিয়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করান। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা থাকায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা’র কাছে পরামর্শ করতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, চিকিৎসকের স্বামী মিলন ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে তাদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বললে রাত সাড়ে আটটার দিকে তানিয়াকে সেখানে ভর্তি করে পনির।
পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গর্ভের সন্তানের ক্ষতির শঙ্কা দেখিয়ে বারবার নিষেধের পরও রাত সাড়ে দশটার দিকে মিলনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ডাঃ মুসলিমা আক্তার মৌসুমী তানিয়াকে অস্ত্রোপচার করলে তার গর্ভের সন্তান মারা যায়।
ঘটনার সময় কৌশলে হাসপাতালের সকল নার্স ও চিকিৎসক পালিয়ে যায়। এতে, তানিয়ার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তানিয়ার স্বজনরা তাকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়।