বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়েছে।
প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশের খুলনা উপকুল অঞ্চলে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজারে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের উপপরিচালক আয়শা খাতুন বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্রমেই শক্তি অর্জন করে উত্তর-উত্তরপশ্চিম উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ ঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে সাতটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা।
এদিকে, ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্ণোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, বন্দরের নিজস্ব সংকেত এলার্ট-থ্রি জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান। শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ৫৬ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সাথে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৭টি জেলায় ত্রাণসামগ্রী এবং নগদ অর্থ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।