বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের বেতন এবং থাকা খাওয়া এবং চিকিৎসা সামগ্রীর খরচ বহন করছে সরকার।
এর বাইরে কেউ কোনো অর্থ দাবি করেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে মনে করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের পাশপাশি বেসরকারি হাসপাতালকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় সরকার। তবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো সরকারের কাছে বেশি অর্থ দাবি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অবশ্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা আটটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রস্তাব করে। তবে দর কষাকষির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেসরকারি হাসপাতালকে কোন বাড়তি টাকা দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
সংগঠনটির প্রস্তাব করা তালিকা থেকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দরকার হলে উত্তরার জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও টঙ্গীর ইন্ট্যারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাথেও চুক্তি হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিক অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় তা নাকচ করে দেয়া হয়েছিলো বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব এখলাসুর রহমান। তবে, করোনার এই দুর্যোগে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো।