নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে, লাখের বেশি ভোটে জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
রবিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ভোটকেন্দ্রে যান তিনি। এসময় ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি। পরে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলেও, ভোটগ্রহণ শেষে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যাবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি দেয়া প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনি এলাকায় এনআইডি কার্ড ছাড়া চলাফেরা করতে দেয়া হবে না প্রশাসনের এমন বক্তব্যে ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়েছেন। তবে আমি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, এটি বাধ্যতামূলক নয়। এটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। তাই শুধু ভোটার নম্বর সম্বলিত কাগজ আনলেই ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। এ সময় শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার কথাও জানান তৈমুর।
একটি কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করে তৈমুর বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজ কেন্দ্রের ৬ নম্বর ভোটকক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার আমার এক এজেন্ট হেলালকে ঢুকতে দেয়নি। কর্মীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। খবর খবর জানার পর আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার। এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা মার্কা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি মার্কা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি মার্কা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা মার্কা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ মার্কা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি মার্কা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া মার্কা)।
এছাড়াও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৪৮ জন। আর সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রাথী ৩৪ জন।